বাংলাদেশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় উদ্যোক্তারা প্রায়শই হয়রানির শিকার হন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী। তিনি জানিয়েছেন, আগামী বছর থেকে সরকারি অফিসের এই হয়রানি কমে আসবে।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) সকালে সাতদিনের ‘জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী এই প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেন, ‘দেশে ব্যবসা শুরু করা একটি জটিল কাজ। নিবন্ধন কার্যক্রমও বেশ কঠিন। সেবা গ্রহণের জন্য সরকারি অফিসে সরাসরি গেলে উদ্যোক্তাদের হয়রানির শিকার হতে হয়। এসব সমস্যা উত্তরণে আগামী বছর থেকে একটি ‘অ্যাপ’ চালু করা হবে। এই অ্যাপের মাধ্যমে উদ্যোক্তারা সহজেই নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন।’
অনুষ্ঠানে আশিক চৌধুরী শিল্প উপদেষ্টা, বিসিকসহ বিভিন্ন শিল্প পার্কে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। তিনি উল্লেখ করেন, এতে কৃষি জমি রক্ষা পাবে। মেলার কার্যক্রম সকাল ১০টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত চলবে। সাতদিনের এই মেলায় প্রায় ৪০০টি এসএমই প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা এসএমই খাতে সুদের হার ১৫ শতাংশ হওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেন। তারা বলেন, এই সুদের হার বেশি হওয়ার মূল কারণ মূল্যস্ফীতির উচ্চ হার। এনজিও থেকে ঋণ নিলে ২৫ শতাংশ সুদ দিতে হয়, যা এসএমই প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালন ব্যয় বাড়িয়ে দেয়। এসএমই ক্রেডিট কার্ড কার্যক্রম শুরু হলেও তা পরিচালনা করা জটিল বলে উল্লেখ করা হয়।
আলোচকরা আরও বলেন, এসএমই খাতে ঋণ কমে আসছে। নির্বাচনের জন্য সব খাতেই স্থবিরতা তৈরি হয়েছে। ব্যাংক খাতে এখন অতিরিক্ত তারল্য দেড় লাখ কোটি টাকা। চাহিদা বাড়লে অর্থনীতির চাকা সচল হবে বলে তারা মত প্রকাশ করেন।
এ সময়, রপ্তানির জন্য বন্ডেড ওয়্যারহাউস করতে হয় উল্লেখ করে, এসএমই খাতের জন্য এই প্রক্রিয়া সহনীয় করার দাবি জানানো হয়।
