বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। তিনি দাবি করেছেন যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাকশালের মাধ্যমে দেশে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু গণঅভ্যুত্থানে জনগণ তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিয়েছে। সালাহউদ্দিন আহমেদ আরও অভিযোগ করেন যে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অস্তিত্ব ও স্বাধীনতায় কখনো বিশ্বাস করেননি এবং পার্শ্ববর্তী একটি দেশের সেবাদাস হিসেবে ক্ষমতা ধরে রেখে সেই দেশের সম্পদ পাচারে সহযোগিতা করেছেন। তিনি বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত তার নির্ধারিত ঠিকানাও হয়েছে দিল্লি।’
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চকরিয়া উপজেলার ইসলামনগর এলাকায় এক মহিলা সমাবেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন। জাতীয় নির্বাচনের আগে কক্সবাজার-১ আসনে নিজ নির্বাচনী এলাকায় এটি ছিল দিনের দ্বিতীয় বড় সমাবেশ।
সমাবেশে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এবারের নির্বাচন হবে বিশ্বের কাছে স্বীকৃত সুষ্ঠু ও প্রশংসিত নির্বাচন। জনগণ এখন নিজেদের অধিকার সম্পর্কে আগের চেয়ে বেশি সচেতন। তারা নিজেরাই ভোটাধিকার পাহারা দেবেন। গত ১৬ বছর দেশে গণতন্ত্র ছিল না—এবার তা ফিরে এসেছে।’
তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষ এখন পরিবর্তন চায়, ন্যায়বিচার চায়, শান্তি চায়। বিএনপি জনগণের কাছে যে ইশতেহার দেবে, সেটিই হবে বাস্তবসম্মত, জনমুখী ও পরিবর্তনের অঙ্গীকার।
বক্তব্যের এক পর্যায়ে ধানের শীষের পক্ষে ভোট চেয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আপনাদের একটি ভোটই পারে দেশের ভাগ্য বদলে দিতে। আমার নেত্রী খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দোয়া করবেন। কেন্দ্রে গিয়ে ধানের শীষে ভোট দেবেন। বিএনপি প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে—আমরা ক্ষমতায় গেলে দেশে সমৃদ্ধি, শান্তি ও নাগরিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে।’
তিনি দাবি করেন যে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেশের অর্থনীতি, প্রশাসন ও ন্যায়বিচারে যে বিপর্যয় তৈরি হয়েছে, তা পুনর্গঠন করা হবে।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সালাহউদ্দিন আহমেদের স্ত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য হাসিনা আহমেদ, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিএনপি এবং এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। দলীয় নেতারা দাবি করেন যে সমাবেশে কয়েক হাজার নারী ও স্থানীয় গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন।
