শেখ হাসিনার সময় শেষ হলেও ভারতপন্থী রাজনীতি বিভিন্নভাবে ফিরে আসতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান। শনিবার দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটরের বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে রোজ একাডেমি আয়োজিত ‘বাংলায় মুসলমানদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য’ শীর্ষক কর্মশালা শেষে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এই বক্তব্য দেন।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের একজনের প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে ড. মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘এটিকে গৃহযুদ্ধ বলব না। কিন্তু ভারত বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইবে। অস্থিতিশীল করে তারা চাইবে তাদের পছন্দের দলকে ফিরিয়ে আনতে। শেখ হাসিনা কোনদিন ফিরবে বলে আমি মনে করি না। হাসিনার টাইম ওভার। কিন্তু হাসিনা যে রাজনীতি করতেন, সেই ভারতপন্থী রাজনীতি বিভিন্নভাবে ফিরে আসতে পারে।’
তিনি উদাহরণ হিসেবে বলেন, ‘যেমন আমরা কিছুদিন আগে দেখেছি কয়েকটা বামপন্থী দল মিলে একটা মোর্চা বানিয়েছে। আমার ব্যক্তিগত ধারণা এই মোর্চা বানানোর মেইন উদ্দেশ্য হচ্ছে ভারতীয় পলিটিক্সটাকে ওই মোর্চার মাধ্যমে ফিরিয়ে আনা। এই চেষ্টা তারা চালিয়েছে।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করার তাগিদ দিয়ে ড. মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘কনভেনশনাল মিলিটারিতে খরচ সীমিত করে আমাদের তরুণদের মিলিটারি প্রশিক্ষণ দেয়া উচিত। অনেকটা ইসরাইলের মতো রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে দু’নম্বরে এদের রাখা যাবে। আমাদের যে টাকা পয়সা আছে এটাকে ডিফেন্সিভ ডকট্রিনে খরচ করা উচিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘এসময় এরোপ্লেন ও ট্যাংক কেনার চাইতে মিসাইল টেকনোলজিতে বিনিয়োগ আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। মিসাইল টেকনোলজিতে বিনিয়োগ করলে আমরা যদি আক্রান্ত হই সেটাকে প্রতিহত করতে পারবো।’
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘এবারের যুদ্ধে পাকিস্তান কিন্তু আক্রমণ করে নাই। তারা প্রতিহত করেছে। কাজেই আমাদের একটা খুব ইফেক্টিভ ডিফেন্সিভ মিলিটারি ডকট্রিন দরকার বলে আমার ধারণা।’
কর্মশালাটিতে ইন্সট্রাক্টর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. মাহমুদুর রহমান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. বিলাল হোসাইন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আনিসুর রহমান প্রমুখ। এতে সভাপতিত্ব করেন ড. মো. বিলাল হোসাইন।
কর্মশালাটিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
