৭ বছরের শিশুকে অপহরণ মামলা গ্রেপ্তায়, আদালতে চাঞ্চল্য

৭ বছরের শিশুকে অপহরণ মামলা গ্রেপ্তায়, আদালতে চাঞ্চল্য

চট্টগ্রামে একটি শিশু অপহরণ মামলায় অভিযুক্ত ৭ বছরের এক শিশু ও তার মাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার নগরীর ষোলশহর এলাকা থেকে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ এই শিশু ও তার ৩০ বছর বয়সি মাকে গ্রেফতার করে। রোববার এ ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর আদালত ও নগর পুলিশে তোলপাড় শুরু হয়। বর্তমানে শিশুটি গাজীপুরের টঙ্গীতে অবস্থিত শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে (বালক) রাখা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ এপ্রিল আনোয়ারা বেগম নামে এক নারী তার দুই সন্তানের মধ্যে বড় সন্তানের অসুস্থতার কারণে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। তিনি তার ৪ বছরের ছোট সন্তান মো. রামিমকেও সঙ্গে নিয়ে যান। কিন্তু হাসপাতালে রামিম হারিয়ে যান। এই ঘটনায় ষোলশহর রেলস্টেশন এলাকায় বসবাসকারী আনোয়ারা বেগম পাঁচলাইশ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও রামিমকে না পাওয়ায় ঘটনার সাত মাস পর গত শুক্রবার তিনি পাঁচলাইশ থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় আসামি করা হয় ৭ বছরের শিশুটি ও তার মাকে।

মামলার বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়, বাদী আনোয়ারা বেগম জানতে পারেন যে তার ছেলেকে হাসপাতালের বারান্দা থেকে ৭ বছরের শিশু ও তার মা খেলার কথা বলে অপহরণ করে নিয়ে গেছেন। মামলা দায়ের হওয়ার পর ওই দিনই পাঁচলাইশ থানার এসআই এনামুল হক ষোলশহর এলাকা থেকে শিশু ও তার মাকে গ্রেফতার করেন। তবে পুলিশ রামিমকে উদ্ধার করতে পারেনি। গ্রেফতারের পর শিশু ও তার মাকে আদালতে পাঠানো হয়। ম্যাজিস্ট্রেট আদালত শিশুটির মাকে কারাগারে প্রেরণ এবং শিশুটিকে গাজীপুরের টঙ্গীতে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে (বালক) পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, শিশু আইন অনুযায়ী ৯ বছরের কম বয়সি কোনো শিশু আসামি হওয়ার সুযোগ নেই। এই বিষয়টি জানার পর রাষ্ট্রপক্ষ রোববার আদালতে শিশুটির জামিনের আবেদন করে। আদালত এই আবেদন মঞ্জুর করেন।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (পিআর) আমিনুর রশিদ বলেন, তিনি বিষয়টি শুনেছেন এবং পুলিশ যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

আরও পড়ুন