ভারতের পন্ডিচেরিতে ক্রিকেট কোচের ওপর হামলার ঘটনায় তিন ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। দলে না রাখার প্রতিশোধ হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে জানা গেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভুক্তভোগী এস ভেঙ্কটারামন ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব পন্ডিচেরির (সিএপি) অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ। তিনি মাথায় গুরুতর আঘাত এবং কাঁধের হাড়ে চিড় ধরার শিকার হয়েছেন। এই ঘটনায় অভিযুক্ত ক্রিকেটারদের খুঁজছে পুলিশ।
সেদারাপেট পুলিশ স্টেশনের সাব-ইন্সপেক্টর এস রাজেশ নিশ্চিত করেছেন যে, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ভারতের ঘরোয়া প্রতিযোগিতা সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফিতে স্কোয়াডে না রাখার প্রতিক্রিয়ায় পন্ডিচেরির তিন স্থানীয় ক্রিকেটার সোমবার এই হামলা চালায়। তিনি জানান, ভেঙ্কটারামনের কপালে ২০টি সেলাই লেগেছে এবং বর্তমানে তার অবস্থা স্থিতিশীল। অভিযুক্ত ক্রিকেটাররা পলাতক রয়েছে এবং তাদের খোঁজ চলছে।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, পন্ডিচেরিতে জন্ম নেওয়া ক্রিকেটারদের ঘরোয়া টুর্নামেন্টের দলে না রাখা নিয়ে অভিযোগ রয়েছে। তবে সিএপি কর্মকর্তারা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। প্রতিবেদনে আরও অভিযোগ উঠেছে যে, ভুয়া শিক্ষা সনদ ও আধার কার্ড বানিয়ে স্থানীয় পরিচয়ে বহিরাগতরা পন্ডিচেরির ক্রিকেটার পরিচয়ে দলে জায়গা পাচ্ছেন। ২০২১ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত রঞ্জি ট্রফিতে পন্ডিচেরির প্রতিনিধিত্ব করেছেন কেবল ৫ জন স্থানীয় ক্রিকেটার।
এই প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় বিসিসিআইয়ের সচিব দেবজিৎ সাইকিয়া বলেছেন, এই সংবাদে কিছু গুরুতর অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে এবং এসব বিষয়ে বিসিসিআই শিগগিরই খতিয়ে দেখবে। এদিকে, কোচের ওপর হামলার ঘটনায় সিএপি সচিব তিন স্থানীয় ক্রিকেটারের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তারা হচ্ছেন বিভিন্ন ফরম্যাটে ৬টি ম্যাচ খেলা কার্তিকেয়া জয়সুন্দর, পন্ডিচেরির হয়ে রঞ্জি ট্রফিতে খেলা এ আরাভিন্দারাজ ও এস সন্তোষ কুমার। এই হামলায় ইন্ধন থাকার দায়ে ভারতিদাসান পন্ডিচেরি ক্রিকেটার্স ফোরামের সচিব জি চন্দ্রনের নামেও অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগপত্রে ভুক্তভোগী কোচ ভেঙ্কটারামন দাবি করেছেন, গত ৮ ডিসেম্বর সকাল ১১টার দিকে সিএপি কমপ্লেক্সের ভেতরে পন্ডিচেরির সিনিয়র ক্রিকেটার কার্তিকেয়া, আরাভিন্দারাজ ও সন্তোষ এসে তাকে হেনস্থা শুরু করে। তাদের দাবি ছিল যে, তার কারণে সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফির স্কোয়াডে জায়গা হয়নি তিনজনের। একপর্যায়ে আরাভিন্দারাজ তাকে আটকে ধরে, এরপর কার্তিকেয়া সন্তোষের হাত থেকে ব্যাট নিয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশে আঘাত করতে থাকে। মারার সময় তারা বলতে থাকে, তাকে মেরে ফেলার পরই তারা দলে সুযোগ পাবে বলে জানিয়েছেন চন্দ্রন।
